ইউ.পি-মামলা নং -০৭৫/২০১৪
১৭/১২/২০১৪
১ম পক্ষ :-মো.দিদারুল আলম,পিতা-মৃত মো.আবুল হাসেম,সাং-মাওলানা অলি আহম্মদ সাহেবের বাড়ী,দক্ষিণ মোহরা,ডাক-মোহরা,থানা-চাঁন্দগাঁও,জেলা-চট্টগ্রাম।
----- বাদী
বনাম
২য় পক্ষ :-১.নাসরিন আকতার সুমি,স্বাম-মো.দিদারুল আলম,পিতা-আবুল কালাম সওদাগর,২.আবুল কালাম সওদাগর,পিতা-মরহুম আব্দুল শুক্কুর সওদাগর,৩.দিলওয়ারা বেগম,স্বামী-আবুল কালাম সওদাগর,প্রযত্নে-আবুল কালাম সওদাগর বাড়ী(আমির পাড়া)সাং-কদলপুর,থানা-রাউজান,জেলা-চট্টগ্রাম।
-------- বিবাদীদ্বয়
১৭/১২/২০১৪
অদ্য মো.দিদারুল আলম,পিতা-মো.আবুল হাসেম,প্রযত্নে-মাওলানা অলি আহম্মদ সাহেবের বাড়ী,সাং-দক্ষিণ মোহরা,থানা-চাঁন্দগাও,জেলা-চট্টগ্রাম।জনাব মোহাম্মদ আজম কাউন্সিলর ৫ নং মোহরা ওয়ার্ড চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশসহ বিবাদীগন ১.নাসরিন আকতার সুমি -স্ত্রী,২.আবুল সওদাগর-শ্বশুর,৩.দিলওয়ারা বেগম-শ্বাশুরী,সর্বসাং-কদলপুর(আমির পাড়া),থানা-রাউজান,জেলা-চট্টগ্রামদের বিবাদীগনের সুবিচারসহ বিহীত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন অত্র কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করেন।বাদীর আবেদন শুনানীর জন্য আগামী ২০/১২/২০১৪ ইং তারিখ দিন ধার্য্য করা হউক।
২০/১২/২০১৪
অদ্য বাদী,বিবাদীগন হাজির আছেন।সম্মানিত ইউ.পি সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়।বাদীর অভিযোগ,বিবাদীগনকে পড়িয়া শুনানো হয়।বিবাদীগন বাদী কর্তৃক আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা,ভিত্তিহীন উল্লেখ্য করে প্রত্যাখান করেন বিবাদীপক্ষ উল্টো বাদী ও তাহার মাতা মাহফুজা বেগম পটু এবং ভ্রাতা মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও প্রতারনার অভিযোগ আনয়ন করেন যে,বিবাহের পর বিবাহের সময় মহরনা স্বরুপ দেওয়া ১১ ভরি স্বর্ণালংকার বাদীর মা কৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ১ নং বিবাদীর কাছ থেকে নিয়ে নেয়।এবং তা অদ্যাবদি ১ নং বিবাদীকে ফিরিয়ে দেয় নাই।এবং ১ নং বিবাদীকে বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যানতন করে।বাদীও মদ্যপান করে তাহার স্ত্রী অর্থাৎ ১ নং বিবাদীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে ২ কন্যাসহ পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়।শুনানীতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মৌখিক জবানবন্দী বিচার বিশ্লেষন করে বাদীর অভিযোগ মিথ্যা প্রতিপন্ন হয় এবং বিবাদীগনের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় এবং বাদী উক্ত গর্হিত আচরনের জন্য লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রাথর্না করেন।এবং ভবিষ্যতে এধরনের গর্হিত কাজ না করার জন্য মৌখিকভাবে ওয়াদা করেন।উল্লেখ্য বাদী কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পূর্বে বাদী, তাহার মাতা ও ভ্রাতা ১ নং বিবাদীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ১ নং বিবাদীকে ২ কন্যাসহ তাহার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ২ নং বিবাদী বাদী ও তাহার মাতা মাহফুজা বেগম এবং ভ্রাতা মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ধারায় মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়েরের পর বাদীপক্ষ ৩০০(তিনশত)টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উক্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে আপস রফা করে ১ নং বিবাদীকে শ্বশুরালয়ে নিয়ে যান।তারপর বাদী উক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি করায় আদালত বাদীকে সর্বসম্মতক্রমে দোষী সাব্যস্থ করে। এমতাবস্থায় শালিসানগনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ২ নং বিবাদী অর্থ্যাৎ বাদীর শ্বশুর তিনটি শর্ত সাপেক্ষে তাহার কন্যাকে বাদীর জওজিয়তে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সম্মত হয়।
শর্তসমূহ :-
1. বাদীর মাতা মাহফুজা বেগম,ভ্রাতা মঞ্জুর আলম কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আসিয়া উপরোক্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া তাহাদের পুত্রবধূকে নিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে উল্লেখিত ঘটনা পুনরাবৃত্তি না করার জন্য পরিষদে মৌখিকভাবে ওয়াদাবদ্ধ হবেন।
2. বাদী কর্তৃক বিবাহের সময় ১ নং বিবাদী মোহরানা স্বরূপ দেওয়া ১১ ভরি স্বর্ণ পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে দেওয়া।
3. ১ নং বিবাদী তাহার পিত্রালয়ে ২টি মেয়ে সন্তানসহ ৪ মাস পর্যন্ত থাকা-খাওয়াসহ খোর-পোষ ২ নং বিবাদীকে প্রদান করা।
অদ্যকার শালিসি পরিষদ ২ নং বিবাদী কর্তৃক উত্থাপিত শর্তগুলো বিশ্লেষণ করে।পর্যালোচনান্তে ২ নং বিবাদীর দাবীগুলো সঠিক ন্যায়,সঙ্গত ও যৌক্তিক বিবেচনা হওয়ায় বাদীকে ২ নং বিবাদী কর্তৃক উত্থাপিত শর্তগুলো পূরন করে তাহর স্ত্রী,২ নং বিবাদীকে তাহার জওজিয়তে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বসম্মত নির্দেশ দেওয়া গেল।এবং উক্ত শর্তগুলোর ব্যাপারে মতামত দেওয়ার জন্য আগামী ১২/০১/২০১৫ ইং তারিখ পরবর্তী তারিখ নির্ধারন করা হল।
১২/০১/২০১৫
অদ্য বাদী ও বিবাদীগন হাজির আছেন।সম্মানিত ইউ.পি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত আছেন।বাদী উক্ত শর্তগুলো পূরনে অপরাগতা প্রকাশ করেন।এমতাবস্থায় বিবাদীগনকে বিশেষকরে ১ নং বিবাদীকে তাহার ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরার্মশ দিয়ে বাদীর অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হলো।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস