Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Welcome to Kadalpur Union information


Image
Title
কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজ
Details

জন্মলগ্ন থেকে কিভাবে এ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরণ ঘটল তার একটি সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হল-

 

বহু আগে এ গ্রামে প্রয়াত ছাদ প্রু বড়ুয়া দ্বারা পরিচালিত একটি জরাজীর্ণ পুরাতন পাঠশালা ছিল। ১৮৯০ ইংরেজিতে তাঁর আহবানে গ্রামবাসী সকলে মিলিত হয়ে ঈশান ভট্ট হাটের কেন্দ্রস্থলে মরহুম আতর আলী চৌধুরী সাহেবের উৎসাহে মরহুম কেরামত আলী চৌধুরী, আমান আলী চৌধুরী মাতববর, আমির আলী চৌধুরী, আমান আলী চৌধুরী , আমান আলী চৌধুরী, প্রয়াত হরগোবিন্দ ভট্ট, রামকুমার ভট্ট, দুর্গাকিংকর ভট্ট, দুর্গাদাস ভট্ট এম.এ ও শিবদাস ভট্ট প্রমুখ মহোদয়গণের ঐকান্তিক চেষ্টায় উক্ত পাঠশালাকে মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়। হাজী করম আলী চৌধুরী এ বিদ্যালয় গৃহ নির্মাণের জন্য আর্থিক সাহায্য করেছিলেন।১৮৯০ ইংরেজি হতে প্রায় ২৭ বছর পর্যন্ত মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয় ছিল। পরে গ্রামবাসী ইংরেজি শিক্ষার আবশ্যকতা উপলদ্ধি করে মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়টিকে মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত করার লক্ষে আলোচনায় মিলিত হন। ফলে ১৯১৭ ইংরেজিতে বিভাগীয় প্রধান Mr. M. P. West স্বয়ং এ গ্রামে আগমন করেন এবং বিদ্যালয়গৃহ সম্প্রসারণের জন্য উপস্থিত সজ্জনমন্ডলীর সাহায্য কামনা করেন। পরে আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়ে ১৯১৭ ইংরেজি হতে মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয় (M. E. School)রুপে স্থায়ী স্বীকৃতি দান করেন। এ সময় বিদ্যালয় গৃহ সম্প্রসারণের জন্য যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁদের মধ্যে সর্বজনাব শান্তশীল বড়ুয়া বি.এ একসাইজ ইন্সপেক্টর, মৌলভী নূর আহাম্মদ চৌধুরী জমিদার, হাসমত আলী সারাং, অধীন চন্দ্র বড়ুয়া এuঁদর নাম উল্লেখযোগ্য।

 

এ বিদ্যালয় হতে প্রায় শতাধিক ছাত্র মধ্যবঙ্গ উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্নস্থানে বিভিন্ন ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। আবার অনেকে এম.এ.বি.এল উপধীতে ভূষিত হয়ে কীর্তিমান হয়েছিলেন। তৎকালীন শ্রদ্ধাস্পদ কবিরাজ দুর্গাদাশ ভট্ট এম.এ. মৌলভী আলা মিঞা চৌধুরী বি.এ; বি.এল; অর্পণা চরণ ভট্ট বি. এল. ও শান্তশীল বড়য়া বি.এ একসাইজ ইন্সপেক্টও এঁদের নাম উল্লেখযোগ্য।

 

তখন যে সকল গুণীব্যক্তি শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন- তাঁদেও মধ্যে সর্বজনাব অবলাকান্ত সেন, হাজী লাল মিঞা চৌধুরী, রুক্সীনী রঞ্জন চৌধুরী, ওবেদল হক চৌধুরী, অধীন চন্দ্র বড়ুয়া, নিরোদ বরণ আচার্য্য, মহেন্দ্র লাল বড়ুয়া, কালী শংকর রায় ভট্ট, নলিনী রঞ্জন বড়ুয়া, মোহাম্মদ ইছহাক চৌধুরী এবং যাঁরা বিদ্যালয় পরিচালনায় ছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্বজনাব অপর্ণাচরণ ভট্ট, মৌলভী আলা মিঞা চৌধুরী বি.এ.বি.এল মুহাম্মদ মিঞা চৌধুরী, গিরিশ চন্দ্র ভট্ট, মোহাম্মদ আবদুল গণি, রসিক চন্দ্র ভট্টচার্য্য(স্মৃতি ভূষণ), মৌলভী দুলা মিঞা চৌধুরী, মুন্সী নুর আলী চৌধুরী, মৌলভী হামিদ আলী চৌধুরী, দুধু মিঞা চৌধুরী, নবরাজ বড়ুয়া, শন্তশীল বড়ুয়া বি.এ শিবদাস ভট্ট, মোহাম্মদ আবদুল হাই, তারা চরণ ভট্ট, কালী কিংকর ভট্টচার্য্য, নিকুঞ্জ বিহারী ভট্টচার্য্য, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, বদিউল আলম চৌধুরী বি.কম(অনার্স) ও মোহাম্মদ নবাব মিঞা চৌধুরীর নাম উল্লেখযোগ্য।

 

১৯৩৮ ইংরেজিতে গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত হয় মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন সর্বজনাব দুলা মিঞা চৌধুরী বি.এ.বি.এল, দুধু মিঞা চৌধুরী, শিবদাস ভট্ট, অর্পণা চরণ ভট্ট, জ্ঞানদা রঞ্জন ভট্টচার্য্য, ভূবন মোহন ভট্ট, গিরিশ চন্দ্র ভট্ট, হিমাংশু বিমল ভট্ট, দেবী চরণ বিদ্যাবিনোদ এবং শিক্ষাকতায় যাঁরা নিয়োজিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্বজনাব অবলা কান্ত সেন, হাজী লাল মিঞা চৌধুরী, মৌলভী সিরাজ উদ্দিন আহম্মদ, অর্পণা চরণ ভট্ট, কালী শংকর রায় ভট্ট, ওবেদল হক চৌধুরী, মহেন্দ্র লাল বড়ুয়া, প্রমাদ রঞ্জন বিশ্বাস, অতীশ চন্দ্র বড়ুয়া, চন্দ্র কুমার দে, আবদুল শহীদ মাস্টার ও কামাল উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর নাম উল্লেখযোগ্য।

 

সুদীর্ঘ ১২ বছর পর ১৯৫০ ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠিত হয় কদলপুর জুনিয়র হাইস্কুল। এ স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্নে যে সকল নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্বজনাব শান্তশীল বড়ুয়া বি.এ, আবদুর রশীদ চৌধুরী, মৌলভী আলা মিঞা চৌধুরী বি.এ.বি.এল, মহম্মদ মিঞা চৌধুরী, দুধু মিঞা চৌধুরী, হিমাংশু বিমল ভট্ট, দেবী চরণ বিদ্যাবিনোদ, অফর্ণা চরণ ভট্ট, কালী কিংকর ভট্টাচার্য্য, কামাল উদ্দীন আহাম্মদ চৌধুরী, হাজী আচ্চনজমা সারাং, কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও ডাঃ আবদুল হাদীর নাম উল্লেখযোগ্য এবং শিক্ষকতার মহান পেশায় যে সকল গুণীব্যক্তি নিয়োজিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্বজনাব চন্দ্র কুমার দে,মোহাম্মদ নুর উদ্দীন, ক্ষীরোদ চন্দ্র ঘোষ, অর্পণা চারণ ভট্ট, ওবেদল হক চৌধুরী, নিরঞ্জন চন্দ্র বড়ুয়া, মৌলভী আলা মিঞা চৌধুরী, নিরঞ্জন চক্রবর্তী, দ্বারিকামেহন বড়ুয়া, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, হদর লাল বড়ুয়া, মৌলভী আবদুর শুকুর এবং নাথ পাড়ার তৎকালীন ম্যাট্রিক পাশ জনাব ক্ষীরোদ চন্দ্র নাথের নাম উল্লেখযোগ্য।

 

বিভিন্ন সময়ে জুনিয়র হাইস্কুলকে কিভাবে হাইস্কুলে উন্নীত করা যায়, সে চিন্তা নিয়ে যাঁরা এগিয়ে আসেন তাঁদেও মধ্যে জনাব বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস চৌধুরীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রধান শিক্ষক হিসাবে যাঁরা নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে সর্বজনাব এম.এ মতিন, মিলন প্রভাষ বড়ুয়া, মৌলভী আলা মিঞা চৌধুরী, চন্দ্র কুমার দে, দ্বারিকা মোহন বড়ুয়া, মোজাম্মেল হক, সিরাজুল হক মহোদয়গণের নাম উল্লেখযোগ্য।